সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

নীরব কান্না,চাপা কষ্ট,হতাশা-দুর্দশা এবং অপেক্ষায় দিন কাটছে প্রাথমিক শিক্ষকদের।

বিষাদে ছুয়েছে আজ, মন ভালো নেই,মহাদেব সাহার সেই উক্তিটা আজ হাড়ে হাড়ে অনুভব করছেন ২০১৮ সালে রাজস্বখাতে নিয়োগ প্রাপ্ত ৪৩ জেলার চুড়ান্তভাবে সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকগণ।সুপারিপ্রাপ্ত হয়ে সঠিক সময়ে নিয়োগ না পাওয়ায় হতাশা,দুর্দশা,নির্ঘুম এবং হিনমন্যতায় দিনরাত পার করছেন সেই সব জেলার শিক্ষকগণ। পুর্বের নোটিশ অনুযায়ী ১৬ তারিখ যোগদানের আশায় অনেক শিক্ষক আগের চাকরি ছেড়ে নিজ বাড়িতে চলে আসেন।অনেকের উপর সারা পরিবারের ভরণপোষন নির্ভর করে।চাকরি ছেড়ে দেওয়ায় অনেক পরিবারে নেমে এসেছে টাকার টানাপোড়ন,অনেকে টাকার অভাবে বাবা মায়ের চিকিৎসা চালিয়ে যেতে পারছেন না।অপর দিকে ১৬ তারিখে নিয়োগ না পাওয়ায় পাড়া প্রতিবেশির অনেক কটু কথা শুনতে হচ্ছে অনেককে।ভুগতেছেন হিনমন্যতায়।কাউকে কিছু বলতে পারছেন না,শুধু নিরবে নিভৃতে অপেক্ষার প্রহর গুনছেন।অনেকে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেইবুকে হতাশার কথা বলতেছেন।ওলাউর রহমান নামের এক সুপারিপ্রাপ্ত শিক্ষক ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে লিখেন,উনি পরিবারের উপার্জনকারী একমাত্র ব্যক্তি, উনার বাবার ৮০% হার্ট ব্লক,মা টিউমারে আক্রান্ত,এমতাবস্থায় উনি খুব চিন্তায় এবং অসহায় হয়ে পড়ছেন।আহমেদ কাজল নামের আরেক শিক্ষক লিখেন,চাকরি ছেড়ে হাত খালি,মায়ের চিকিৎসার জন্য টেস্ট করাতে হবে,কিন্তু মা টেস্ট করাতে মানা করতেছেন,আগে নাকি আমার মেডিকেল টেস্ট করব,চোখের পানি আটকিয়ে রাখতে পারছি না।
কবে শেষ হবে মেধাবীদের নিরব কান্না।কবে হতাশা দুর্দশা থেকে বের হবেন সেই সব সুপারিপ্রাপ্ত শিক্ষকগণ।কি দোষ তাদের।মেধার মাধ্যমে টিকে কেন আজ এত দুশ্চিনায় দিনরাত কাটাতে হচ্ছে।কে শুনবে এই নিরব কান্না।সবার একটায় আশা সকল কালো ধোয়াশা একদিন আলোর মুখ দেখবে।পরিবার পরিজনের মুখে একটু হাসি দেখবেন।শীগ্রই যেন মহান রাব্বুল আলামিন সবার দু:খ মোচন করে দেন-আমিন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপহার প্রতিবন্ধিদের জায়গা সহ ঘর নির্মান পরিদর্শন করেন সিলেট জেলা প্রশাসক মজিবর রহমান

 সিলেটের জেলা প্রশাসক জনাব মজিবর রহমান রামপাশা ইউনিয়নের প্রতিবন্ধীদের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপহার জায়গা সহ গৃহ নির্মাণের কাজগুলো ...