মঙ্গলবার, ১৬ জুন, ২০২০

চলে গেলেন সবার প্রিয় নজরুল স্যার।

চলে গেলেন হাজার হাজার মানুষ গড়ার কারিগর,সদালাপী,যার কথায় নম্রতা এবং বিনয়ের সঠিক পরিচয় পাওয়া যেত,একলিমিয়া দ্বিপাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয় এবং আল আজম উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক সুনামধন্য শিক্ষক জনাব নজরুল ইসলাম।গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ২ টা ১০ মিনিটে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।ইন্নালিল্লাহি...রাজুন।গতকাল মঙ্গলবার রাত ১১ঃঃ৫০ মিনিটে স্থানীয় গাজির মোকাম জামে মসজিদে জানাজার নামাজ শেষে গাজির মুকাম কবরস্থানে উনার দাফন সম্পন্ন করা হয়।জনাব নজরুল ইসলাম ছিলেন একজন সৎ,সাদাসিধে মানুষ কিন্তু মাথায় ছিল জ্ঞানের ভান্ডার।
অনেক অনেক সরকারি,বেসরকারি চাকরিজীবী এবং দেশের বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করছেন যা নজরুল ইসলাম স্যারের নিজ হাতে গড়া।তিনি ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক ছিলেন,ইংরেজির উপর প্রাকৃতিকভাবে স্যারের একটা দখল ছিল।তাই অনেকে স্যারকে ন্যাচারাল ট্যালেন্ট বলে সম্বোধন করতেন।তার কাছ থেকে অনেক ছাত্র-ছাত্রীরা ইংরেজি শিখে ইংরেজি বিষয়কে আয়ত্ব করেছেন।তিনি ছিলেন আমতৈল গ্রামের সুনামধন্য ব্যক্তিত্ব জনাব মুকিদ মিয়া সাহেবের দ্বিতীয় পুত্র।সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেও জীবন কাটিয়েছেন একবারে সাদামিঠে।তিনি ছিলেন নিরহংকারী, নম্র ভদ্র এবং সদা সদালাপী একজন মানুষ।জীবনের বেশির ভাগ সময় কাটিয়েছেন জ্ঞান বিতরণের জন্য।ছাত্রছাত্রীদের অনেক দিয়েছেন কিন্তু কখনো সেরকম বিনিময় চাননি।উনার একটাই চাওয়া ছিল ছাত্রছাত্রীরা লেখাপড়া করে মানুষের মত মানুষ হোক।ছাত্রছাত্রী শুভাকাঙ্ক্ষী এলাকার লোকজনের সাথে দেখা হলে হাসিমুখে কথা বলতেন।উনার সততা নিষ্টা,নম্রতা,ভদ্রতার জন্য আজীবন বেচে থাকবেন জ্ঞান বিতরনের এই বাতিঘর।উনার মৃতুতে গ্রামবাসী একজন ভালো মানুষ হারালো।উনার অবদান যুগ যুগ মনে মনে রাখবে গ্রামবাসী।আমরা উনার মৃতুতে গভীর শোকাহত। আল্লাহ নজরুল স্যারকে জান্নাতের উচ্চ মাকাম দান করুন আমিন। মো: রেনু মিয়া সাবেক ছাত্র,আল আজম উচ্চ বিদ্যালয়

রবিবার, ৩ মে, ২০২০

করোনা পরিস্থিতিতে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন রামপাশা ইউপি চেয়ারম্যান এড. আলমগীর।

নিজস্ব প্রতিবেদন::: করোনা পরিস্থতিতে সারা পৃথিবী দিশেহারা।শক্তিশালী দেশগুলো এটির একমাত্র উপায় দেখছেন আকাশ থেকে।বাংলাদেশের মত মধ্যম আয়ের দেশেও বেশ পড়েছে করোনা প্রভাব।দিন দিন বাড়ছে করোনা আতংক।নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত,উচ্চবিত্ত সবাই এখন ঘরবন্দি।করোনা প্রভাবে অনেকেই পড়েছেন খাদ্য সংকটে।সরকারি তহবিল,বেসরকারি,সামাজিক এবং সাংস্কৃতিসহ সবধরণের সংস্থা ত্রান বিতরণ করছেন।করোনা মহামারিতে ৪ নং রামপাশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এড. মোহাম্মদ আলমগীর ভাই দিন রাত পরিশ্রম করে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
নিজের জীবন বাজি রেখে দরিদ্র এবং করোনা পরিস্থতিতে যারা আর্থিক সমস্যা এবং খাদ্য সংকটে রয়েছেন উনি সরকারের তহবিল থেকে প্রাপ্ত ত্রান সামগ্রী সুষম বন্টন করে দিচ্ছেন।সরকারের তহবিল ব্যতিত বিভিন্ন সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক সংস্থার মাধ্যমে এবং নিজস্ব অর্থায়নে ত্রান সামগ্রী পৌছিয়ে দিচ্ছেন মানুষের ঘরে ঘরে।ত্রান সামগ্রী বিতরনের পাশাপাশি করোনার ভয়াল থাবা থেকে বাচার জন্য গণসচেতনতা গড়ে তুলেছেন।হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত এবং সামাজিক দুরুত্ব বজায় রাখার জন্য দিন রাত কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।জীবন রক্ষার জন্যে পরনে নেই কোন পিপিই,শুধু নিজ ইউনিয়নের প্রত্যেকটা নাগরিককে নিরাপদে রাখতে জীবন বাজি রেখে আপন গতিতে চলছেন এই জনপ্রতিনিধি। উনার একটিই চাওয়া উনার চারপাশের এবং ইউনিয়নের মানুষ যেন সুস্থ এবং নিরাপদ থাকে।বস্তুত আমরা নির্বাচনের ইস্তেহারে জনপ্রতিনিধিগন যে প্রতিশ্রুতি দেন তা নিজের শতভাগ দিয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছেন রক্ষা করার জন্য। মানবতার মূর্তপ্রতিক হয়ে আজীবন বেচে থাকবেন মানবতার এই ফেরিওয়ালা।মানবতার কল্যানে জনম জনম কাজ করে যাবেন এই বিশ্বাস করি।হয়ত একদিন করোনাসহ সকল মহামারি দূর হয়ে যাবে,শুধু ইউনিয়নের প্রত্যেকটা মানুষের হৃদয়ে রয়ে যাবেন একজন জনপ্রতিনিধি, একজন মানবতার কল্যানে কাজ করে যাওয়া এড. মোহাম্মদ আলমগীর ভাইয়ের ভালবাসা। মোহাম্মদ রেনু মিয়া রামপাশা থেকে,

বৃহস্পতিবার, ৯ এপ্রিল, ২০২০

ফকির মো: ইমাম উদ্দিন মেম্বারের পক্ষ থেকে ৩৫০ টি পরিবারের মধ্যে নগদ অর্থ বিতরন।

নিজস্ব প্রতিবেদন,১০ এপ্রিল,২০২০::সিলেট জেলার বিশ্বনাথ উপজেলার ৪ নং রামপাশা ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের পঁাচবারের নির্বাচিত মেম্বার জনাব ফকির মো: ইমাম উদ্দিন মেম্বারের পক্ষে করোনা ভাইরাসের প্রভাবে প্রভাবিত গরীব,অসহায় এবং কর্মহীন ৩৫০ টি পরিবারের মধ্যে নগদ অর্থ প্রদান করা হয়।উনার বড় ছেলে মুহিবুর রহমান এবং মেজো ছেলে মিজান আহমেদ গত ৯ এপ্রিল রোজ বৃ্হস্পতিবার ৩৫০ টি পরিবারকে নিজ নিজ বাড়িতে গিয়ে উক্ত নগদ টাকা প্রদান করেছেন।উল্লেখ্য জনাব ফকির মো: ইমাম উদ্দিন মেম্বার দীর্ঘদীন যাবৎ উনার গ্রামের দরিদ্র এবং অসহায়দের সাহায্য সহযোগিতা করে আসছেন।
জাতির এই দু:সময়ে গরিব এবং অসহায় মানুষদের পাশে থাকতে পেরে মহান রাব্বুল আলামিনের নিকট শুকরিয়া জ্ঞাপন করেছেন এবং অদুর ভবিষ্যতে যে কোন পরিস্থিতিতে সব সময় পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।উল্লেখ্য জনাব ইমাম উদ্দিন মেম্বার গত দুই বছর মামলা জঠিলতায় থাকায় প্রত্যেক্ষভাবে সাহায্য সহযোগিতা করতে না পারলেও উনার পরিবারের সদস্যদের দিয়ে সব সময় গরিব অসহায় মানুষদের সাহায্য সহযোগিতা করে আসছেন।উনার পরিবারের পক্ষ থেকে ওয়ার্ড তথা ইউনিয়নবাসির কাছে দোয়া কামনা করছেন।

বুধবার, ৮ এপ্রিল, ২০২০

আল আজম হাই স্কুল এন্ড কলেজের রজতজয়ন্তী উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ।

বিশ্বনাথ ডেস্ক:::আল আজম হাই স্কুল এন্ড কলেজের রজতজয়ন্তী উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে উক্ত পরিষদের চাকরিজীবী ,ব্যবসায়ী ও প্রবাসিদের উদ্যোগে আজ দুপুর ২ টায় বৃহত্তর আমতৈল গ্রামের ১৬৪ পরিবারের মধ্যে খাদ্য সামগ্রি বিতরণ করা হয় ৷ প্রত্যেক পরিবারকে আট কেজি চাল,দুই কেজি আলু,এক কেজি পেয়াজ,এক লিটার তেল,এক কেজি ডাল এবং একটি করে সাবান প্রদান করা হয়।যারা আল আজম হাইস্কুল এন্ড কলেজের রজতজয়ন্তী উৎযাপন পরিষদের সাথে জড়িত সকলের প্রচেষ্টায় করোনা ভাইরাসের প্রভাবে প্রভাবিত গ্রামের গরীব,অসহায় এবং কর্মহীনদের মধ্যে এই নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে যারা সাহায্য,সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন এবং শ্রম দিয়ে হত-দরিদ্র এবং কর্মহীনদের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

আল আজম হাই স্কুল এন্ড কলেজের রজতজয়ন্তী এবং পূনর্মিলনী উদযাপনের লক্ষ্যে কার্যকরী কমিটি গঠন।

বিশ্বনাথ,২৮ ফেব্রুয়ারি,২০২০,শুক্রবার,রাত ৮:০০:: আজম হাই স্কুল এন্ড কলেজের রজতজয়ন্তী এবং পূনর্মিলনী ২০২০ এর উদযাপনের লক্ষ্যেকার্যকরী কমিটি গঠন করা হয়েছে।আজ শুক্রবার বিকাল ৪ টায় সিলেট জর্জকোর্টের ক্যাফেটেরিয়ায় সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জনাব বশির আহমদের সভাপতিত্বে এক প্রস্তুতি সভা অনুষ্টিত হয়।উক্ত সভায় সর্বসম্মতিক্রমে জনাব বশির আহমদকে প্রধান সমন্নয়ক এবং জনাব মো: রাজুকে আহবায়ক করে কার্যকরি কমিটি গঠন করা হয়।এতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিলেট জজকোর্টের সহকারী পিপি ৪ নং রামপাশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জনাব এডভোকেট মোহাম্মাদ আলমগীর,রশিদিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার জনাব মঈনুল ইসলাম সহ আরো অনেকে। যুগ্ম আহবায়ক করা হয় জনাব সালেহ আহমেদ এবং মোহাম্মদ আলমগীরকে।সদস্য সচিবের দায়িত্ব পেয়েছেন জনাব তানজিদ আহমেদ।উক্ত কার্যকরী কমিটির নির্বাহি সদস্যগন হচ্ছেন সুহেল আহমেদ মুন্না,মুহিবুর রহমান,জহিরুল ইসলাম,সালেহ আহমেদ,ফয়ছল আহমেদ,মোহাম্মদ জাকারিয়া(১),কবির আহমেদ,কাউছার আহমেদ,আনিসুর রহমান শাওন,মো: জাকারিয়া(২),ডা: মঞ্জুরুল ইসলাম সৌরভ।

রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

আল আজম হাই স্কুল এন্ড কলেজের ২৫ বছর পূর্তিতে রজতজয়ন্তী পালনের লক্ষ্যে পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত।

বিশ্বনাথ উপজেলার আল-আজম স্কুল এন্ড কলেজের ২৫ বছর পূর্তিতে রজতজয়ন্তী বাস্তবায়নের লক্ষ্যে, প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের সাথে যোগাযোগ ও পরবর্তী পরামর্শ সভা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আজ এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের অর্থনীতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান জনাব বশির আহমেদ স্যাররের বাসায়। উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের অর্থনীতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক জনাব বশির আহমেদ স্যার,সেরেস্তাদার (অফিস সুপার) জনাব মোঃ আতাউর রহমান,৪নং রামপাশা ইউনিয়নের স্বনামধন্য চেয়ারম্যান এডঃ জনাব মোঃ আলমগীর, সিলেট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জনাব নানু মিয়া, এনবিআর কর্মকর্তা জনাব মোঃ রাজু মিয়া ঢাকা দক্ষিণ স্কুল এন্ড কলেজের অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক জনাব মোঃ সালেহ আহমেদ, অগ্রণী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার জনাব তানজিদ আহমেদ।উক্ত সভায় আগামী ২৮/০২/২০২০ শুক্রবার বিকাল ৪ঃ০০ ঘটিকায় সিলেট জর্জকোট ক্যাফেটোরিয়ায় এক সভার আয়োজন হবে বলে জানানো হয়েছে।এতে সকলের অংশগ্রহনের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

২৫ ফেব্রুয়ারি সিলেট জেলা প্রাথমিক নিয়োগ বঞ্চিত শিক্ষকদের মানববন্ধন।

প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ২০১৮ এর সিলেট জেলার দ্রুত যোগদান ও পদায়ন এবং ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে বেতন ভাতা কার্যকরের দাবিতে এক শান্তিপূর্ন মানববন্ধনের আয়োজন করবেন সিলেট জেলা প্রাথমিক নিয়োগ বঞ্চিত শিক্ষকগণ। আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি রোজ মঙ্গল সিলেট প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের সামনে সকাল ১০ ঘটিকার সময় মানববন্ধন অনুষ্টিত হবে বলে নিশ্চিত করেছেন নিয়োগ বঞ্চিত শিক্ষকরা।পরে জেলা প্রশাসক এবং জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করবেন।উল্লেখ্য গত ১৬ ফেব্রুয়ারি পুর্বের নোটিশ অনুযায়ী যোগদানের কথা ছিল।কিন্তু সেদিন কিছু শিক্ষক যোগদানের অনুমোদন পাওয়ার পর হাইকোর্টের নির্দেশে সকল নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত করা হয়।তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে যোগদান এবং পদায়নের দাবিতে শিক্ষকরা মানববন্ধনের ডাক দিয়েছেন।এতে নিয়োগ বঞ্চিত সকল শিক্ষকগনকে উক্ত মানববন্ধনকে সফল করার জন্য আহবান করা হয়েছে।

সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

নীরব কান্না,চাপা কষ্ট,হতাশা-দুর্দশা এবং অপেক্ষায় দিন কাটছে প্রাথমিক শিক্ষকদের।

বিষাদে ছুয়েছে আজ, মন ভালো নেই,মহাদেব সাহার সেই উক্তিটা আজ হাড়ে হাড়ে অনুভব করছেন ২০১৮ সালে রাজস্বখাতে নিয়োগ প্রাপ্ত ৪৩ জেলার চুড়ান্তভাবে সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকগণ।সুপারিপ্রাপ্ত হয়ে সঠিক সময়ে নিয়োগ না পাওয়ায় হতাশা,দুর্দশা,নির্ঘুম এবং হিনমন্যতায় দিনরাত পার করছেন সেই সব জেলার শিক্ষকগণ। পুর্বের নোটিশ অনুযায়ী ১৬ তারিখ যোগদানের আশায় অনেক শিক্ষক আগের চাকরি ছেড়ে নিজ বাড়িতে চলে আসেন।অনেকের উপর সারা পরিবারের ভরণপোষন নির্ভর করে।চাকরি ছেড়ে দেওয়ায় অনেক পরিবারে নেমে এসেছে টাকার টানাপোড়ন,অনেকে টাকার অভাবে বাবা মায়ের চিকিৎসা চালিয়ে যেতে পারছেন না।অপর দিকে ১৬ তারিখে নিয়োগ না পাওয়ায় পাড়া প্রতিবেশির অনেক কটু কথা শুনতে হচ্ছে অনেককে।ভুগতেছেন হিনমন্যতায়।কাউকে কিছু বলতে পারছেন না,শুধু নিরবে নিভৃতে অপেক্ষার প্রহর গুনছেন।অনেকে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেইবুকে হতাশার কথা বলতেছেন।ওলাউর রহমান নামের এক সুপারিপ্রাপ্ত শিক্ষক ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে লিখেন,উনি পরিবারের উপার্জনকারী একমাত্র ব্যক্তি, উনার বাবার ৮০% হার্ট ব্লক,মা টিউমারে আক্রান্ত,এমতাবস্থায় উনি খুব চিন্তায় এবং অসহায় হয়ে পড়ছেন।আহমেদ কাজল নামের আরেক শিক্ষক লিখেন,চাকরি ছেড়ে হাত খালি,মায়ের চিকিৎসার জন্য টেস্ট করাতে হবে,কিন্তু মা টেস্ট করাতে মানা করতেছেন,আগে নাকি আমার মেডিকেল টেস্ট করব,চোখের পানি আটকিয়ে রাখতে পারছি না।
কবে শেষ হবে মেধাবীদের নিরব কান্না।কবে হতাশা দুর্দশা থেকে বের হবেন সেই সব সুপারিপ্রাপ্ত শিক্ষকগণ।কি দোষ তাদের।মেধার মাধ্যমে টিকে কেন আজ এত দুশ্চিনায় দিনরাত কাটাতে হচ্ছে।কে শুনবে এই নিরব কান্না।সবার একটায় আশা সকল কালো ধোয়াশা একদিন আলোর মুখ দেখবে।পরিবার পরিজনের মুখে একটু হাসি দেখবেন।শীগ্রই যেন মহান রাব্বুল আলামিন সবার দু:খ মোচন করে দেন-আমিন।

অধিদপ্তর রীটকারীদের ব্যাপারে খুব বিরক্ত।মন্ত্রণালয় অসন্তোষ-প্রাথমিক পরিচালক মো: নুরুল আমিন।

প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক রাজস্বখাত ২০১৮ সালের নিয়োগের মৌলভীবাজারে আজকে অরিয়েন্টেশন হয়েছে।অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সরকারের যুগ্ম সচিব এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সম্মানিত পরিচালক খান মোঃ নুরুল আমিন স্যার এবং গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়ের উপ সচিব সত্যকাম সেন স্যার উপস্থিত ছিলেন।অরিয়েন্টেশনে বক্তব্য প্রধানকালে সম্মানিত পরিচালক মো: নুরুল আমিন বলেন,অধিদফতর এবং সরকার রীটকারীদের কার্যক্রমে খুব বিরক্ত।মন্ত্রনালয় এগুলোর অসন্তুষ্ট প্রকাশ করেছে।তিনি আরো বলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্থগিতাদেশ স্থগিত করা হবে।এ জন্য আমরা আইনজীবী নিয়োগ দিয়েছি। তিনি আরো বলেন,অধিদপ্তর আপ্রাণ চেষ্টা করেছে সবার অরিয়েন্টেশন এক সাথে করার। যে জেলা গুলোতে হয় নি সেগুলো সম্ভবত এক সাথে বা পর্যায়ক্রমে অরিয়েন্টেশন করা হবে।তিনি আরো যোগ করেন,রিট নিয়ে যা ইচ্ছা করে ফেলতে পারেন। সরকার কেয়ার করছে না।আইনজীবীদের টাকা বেশি থাকলে দিতে পারেন,সমস্যা নাই। সরকার ১৮১৪৭ জনকে পদায়ন করবেই। সেটা আগে হোক আর পরে হোক।

রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

স্বপ্ন ভাঙ্গার দিনে,সারা জীবনের আশির্বাদ দিয়ে বলছি,আপনারা কোনদিন সুখি হতে পারবেন না।

আজ পূর্বের নোটিশ অনুযায়ী আমরা সবাই ডিপিও অফিসে যাই যোগদান করতে।সকালে যখন অফিসে যাওয়ার জন্য গাড়িতে উঠি কেন যেন আমার কাছে কার রেস এর মত লাগছে।বার বার সাত্তার স্যারের পোস্ট মনে পড়ছিল।আমাকে ওদের আগে যেতেই হবে।গেলাম সবকিছু টিক ছিল।১০ টায় জমা নেওয়ার কথা থাকলেও সাড়ে ১০ টায় কার্যক্রম শুরু হয়।সবাই সবার কাগজপত্র টিক করতে ব্যস্ত।পাওয়া তথ্যে ১০০+ শিক্ষক যোগদান পত্র অনুমোদন করেছেন।পরে হঠাৎ আওয়াজ আসল স্থগিত।পরে কর্মকর্তারা বললেন একটা ইমেল আসছে স্থগিতাদেশ এর তাই আমরা কার্যক্রম বন্ধ রেখেছি।আপনারা ১ ঘন্টা বাইরে অপেক্ষা করুন।আমরা সবাই কিছুটা হইচই শুরু করলাম।কিছুটা প্রতিবাদি।কিছু কর্মসূচি ও দেওয়া হয়।অনেক সময় চলে গেলেও ভিতর থেকে কোন খবর আসে নাই।আমাদের দ্বায়িত্ব প্রাপ্তরা ভিতরে ঢুকে স্যারের সাথে কথা বলেন।কিছুটা রাগ আর ক্ষোভ ও দেখান।কিন্তু ডিপিও স্যার আইনের মার পেচ দেখিয়ে কোন আদেশ না আসা পর্যন্ত কার্যক্রম বন্ধ মর্মে নোটিশ তৈরি করেন।আমাদের শিক্ষকদের আরো ক্ষোভ এবং রাগ বাড়তে থাকে।বারবার স্লোগানে মুখরিত হয় অফিস প্রাঙ্গন।পরে ডিপিও স্যার কিছু পুলিশ আনেন। যাতে কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে।দীর্ঘ জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে বিকাল ৪টায় অফিসিয়ালি নোটিশ দেন পরবর্তি ঘোষনা না আসা পর্যন্ত সকল কার্যক্রম বন্ধ।তীরে এসে তরী ডুবে যায়।সবাই হতাশাগ্রস্থ এবং নিরাশ হয়ে বাড়ির পানে ফিরে যায়।জানি না কে কাকে কি বলে বুঝ দিতেছেন।হয়তবা অভিনয় করে ভালো থাকতেছেন।কাউকে কিছু বলতে পারতেছেন না।আর সবকিছু সহ্যের বাইরেও চলে যাচ্ছে।যেখানে সব কিছু স্বপ্নের মত হওয়ার কথা সেখানে দু:স্বপ্নের একটা দিন গেল।আমরা মনে প্রানে বিশ্বাস করি,কাউকে কষ্ট দিয়ে কেউ কোন দিন সুখি হতে পারে না।আপনারা পারবেন তোহ????আপনারা যে স্বপ্ন ভাঙ্গার উৎসবে মেতেছেন,যেদিন আপনাদের স্বপ্ন ভাঙ্গবে বুঝবেন।স্বপ্ন ভাঙ্গা কি জিনিস।সারা জীবনের আশির্বাদ দিয়ে বলছি,আপনারা কোন দিন ভালো থাকবেন না। সিলেট থেকে, মো:রেনু মিয়া

বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

শ্বাসরুদ্ধকর খেলায় এস,আর ক্রিকেট ক্লাবকে ১ রানে হারিয়ে ফাইনালে জননী ক্রিকেট ক্লাব

বিশ্বনাথ রামপাশা ইউনিয়ন ক্রিকেট এসোসিয়েন কর্তৃক আয়োজিত রামপাশা ইউনিয়নের ক্রিকেট লীগ ২০২০ আসরের ২য় সেমিফাইনালে নাটকে ঠাসা খেলায় এস,আর ক্রিকেট ক্লাবকে ১ রানে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে জননী ক্রিকেট ক্লাব।টসে জয় লাভ করে জননী অধিনায়ক মুস্তাফিজুর রহমান কিনু প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন।মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান আহাদের অর্ধ শতক,রাজন এবং কামরানের মাঝারি ইনিংসে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রান করে জননী ক্রিকেট ক্লাব।পাঁচটি চার এবং চারটি ছয়ের মারে ৩৪ বলে সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেন আহাদ। ২১ বলে ২৩ রান করেন রাজন,শেষের দিকে ১৪ বলে ২১ রানের ছোট ক্যামিও ইনিংস খেলেন কামরান।এস,আর ক্রিকেট ক্লাব সাকিব ৪ ওভার বলে করে ১৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট শিকার করেন।১৫৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দুই ওপেনিং ব্যাটসম্যান কানন এবং মাহবুব ভালো সুচনা করেন।দলীয় ২৮ রানে প্রথম উইকেট হারায় এস,আর ক্রিকেট ক্লাব।দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে অভিজ্ঞ কানন এবং সাইফুল ৫২ রানের পার্টনারশিপ দেন।সাইফুল দলীয় ৯০ রানে ২৭ বলে ১৪ রানে আউট হলে খেলায় ফিরে আসে জননী ক্রিকেট ক্লাব।কানন চারটি ছয় এবং পাঁচটি চারে ৬৩ রান করে রিটায়ার্ড হার্টে চলে যান।ব্যাটিয়ে আসেন হার্ড হিটার দিলাল এবং মারুফ সমীকরণ দাঁড়ায় শেষ দুই ওভারে ৩৩ রান দরকার।১৯ তম ওভার করতে আসেন রাজন।রাজনের ওভার থেকে মারুফ নেন ১৭ রান।শেষ ওভারে এস,আর এর জন্য দরকার ১৬!!! বোলিং এ শিবলু।ব্যাটিং এ দিলাল।প্রথম বলে ছক্কা।৫বলে দরকার ১০ রান।স্নায়ু চাপে সবাই।পরের বলে ১ রান।২০ তম ওভারে চতূর্থ বলে দিলালের ছক্কা।১ বলে জিততে দরকার ২ রান।টান টান উত্তেজনা। কিন্তু দিলাল শেষ বলে কোন রান নিতে পারেন নি।ফলে শ্বাসরুদ্ধকর খেলায় ১ উইকেটে জিতে যায় জননী ক্রিকেট ক্লাব।১১ বলে ২৪ রান করেন মারুফ।১৪ বলে ১৭ রান করেন দিলাল।৪ ওভারে ২৪ রান দিয়ে ১ উইকেট শিকার করেন অধিনায়ক কিনু।৩৪ বলে ৫৪ রানের ঝকঝকে ইনিংসের জন্য ম্যাচ সেরা হন আহাদ।

বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

ফাইনালে উঠার লড়াইয়ে আগামীকাল জননী ক্রিকেট ক্লাব বিপক্ষে মাঠে নামছে এস আর ক্রিকেট ক্লাব

স্পোর্টস ডেস্ক, ১২ ফেব্রুয়ারি,২০২০: বিশ্বনাথে রামপাশা ইউনিয়ন ক্রিকেট এসোসিয়েশন কর্তৃক আয়োজিত ১৪তম রামপাশা ইউনিয়ন ক্রিকেট লীগের ২য় সেমিফাইনালে মুখামুখি হচ্ছে আসরের অন্যতম শিরোপার দাবিদার জননী ক্রিকেট ক্লাব এবং এস,আর ক্রিকেট ক্লাব।
ফাইনালে উঠার এই লড়াই আগামীকাল দুপুর ১ঘটিকায় শেখপাড়া ক্রিকেট মাঠে শুরু হবে।প্লে অফে নিউ স্টার ক্রিকেট ক্লাবকে ৭৩ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে দারুন ছন্দে রয়েছে সাইফুল,কামরুল,কানন এবং যুবরাজদের নিয়ে গড়া এস,আর ক্রিকেট ক্লাব।অপর দিকে ১ম সেমিফাইনালে এস,পি ক্রিকেট ক্লাবের সাথে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে ২ উইকেটে হারলেও রাজন,স্বপন,শিবলু,মুস্তাফিজ এবং আহাদদের নিয়ে গড়া জননী ক্রিকেট ক্লাব ফাইনালের টিকেট পেতে মরিয়া হয়ে উঠবে।হারলে বিদায়,জিতলে ফাইনাল এমন সমীকরণের খেলায় কেউ কাউকে ছাড় দিতে চাইবে না।তাই ক্রিকেট প্রেমীদের জন্য এক জমজমাট লড়াই অপেক্ষা করছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

বিশ্বকাপ সেরা একাদশের অধিনায়ক আকবর

স্পোর্টস ডেস্ক ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১০:৪২ | ভারতকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জয়ের ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। রোববার দক্ষিণ আফ্রিকার পচেফস্ট্রুমে অনুষ্ঠিত ফাইনালে ভারতকে ২৩ বল আগেই ৩ উইকেটে হারিয়ে শিরোপা নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফর্ম করা সেরা ক্রিকেটারদের নিয়ে বিশ্ব একাদশ সাজিয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।
যুব বিশ্বকাপের সেরা একাদশে জায়গা পেয়েছেন বাংলাদেশের তিন তারকা ক্রিকেটার। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের সেরা একাদশের অধিনায়ক করা হয়েছে বাংলাদেশের বিশ্বকাপজয়ী দলের নেতৃত্ব দেয়া আকবর আলী। আইসিসির সেরা একাদশ: যশস্বী জাসওয়াল, ইবরাহিম জাদরান, রাভিন্দু রাসান্থা, মাহমুদুল হাসান জয়, শাহাদাত হোসেন, নিম ইয়ং, আকবর আলী (অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক), শফিকউল্লাহ ঘাফারি, রবি বিষ্ণই, কার্তিক ত্যাগি, জায়ডেন সিলস।

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ফল স্থগিত কুড়িগ্রামে

হাইকোর্টের এক আদেশে কুড়িগ্রাম জেলার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ফল ৬ মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। সরকারি বিধিমালা লঙ্ঘনের অভিযোগে গত ২৭ জানুয়ারি হাইকোর্ট জনৈক জান্নাতুল ফেরদৌসির করা রিট পিটিশনটি আমলে নিয়ে এ আদেশ দেন। মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) কুড়িগ্রাম জেলা দায়রা জজ আদালতে এ আদেশ পৌঁছলে বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। জানা যায়, গত বছর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় ১৬৬ জনকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করা হয়।
শিক্ষক নিয়োগে ২০১৩ লঙ্ঘনের অভিযোগে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের মঈদাম এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু ইব্রাহীমের কন্যা জান্নাতুল ফেরদৌস সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১০২ ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগে হাইকোর্ট বিভাগে একটি রিট পিটিশন আনয়ন করেন। এরই প্রেক্ষিতে বিচারক শেখ হোসাইন আরিফ এবং বিচারক মোঃ মাহমুদ হাসান তালুকদারের বেঞ্চে শুনানি শেষে ২৭ জানুয়ারি ৬ মাসের জন্য নিয়োগ স্থগিত করেন।

একুশে বইমেলায় জাকির জাফরানের "অন্ধের জানালা" এবং "নির্বাচিত কবিতা"

বাঙালির প্রাণের উৎসব অমর একুশে গ্রন্থমেলা।প্রানের এই মেলা উপলক্ষে প্রকাশিত হয় বিভিন্ন গল্প,কাব্যগ্রন্থ কিংবা উপন্যাস।পাঠকরা অধির আগ্রহে অপেক্ষা করেন তাদের পছন্দের লেখকের নতুন নতুন বই প্রকাশের।এবারের অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে জাকির জাফরানের দুইটি কবিতার বই "নির্বাচিত কবিতা" এবং "অন্ধের জানালা"।
"অন্ধের জানালা"বইটি পাওয়া যাবে বাংলা একাডেমির প্রাঙ্গনে একুশে বইমেলার বেহুলা বাংলায় স্টল নং ৪৬৯-৪৭১ এবং লেখকের কবিতার বই "নির্বাচিত কবিতা" অভিযান স্টল নং ৪৮৬।

সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

সহকারি পাবলিক প্রসিকিউটর হিসাবে নিয়োগ পেলেন এডভোকেট আলমগীর।

সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) হিসাবে নিয়োগ পেলেন বিশ্বনাথ উপজেলার ৪নং রামপাশা ইউনিয়নের সুনামধন্য চেয়ারম্যান জনাব এড. আলমগীর।
তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে এই খবরটি নিশ্চিত করেন।উল্লেখ্য তিনি ২০১০ সালের ১৫ই ডিসেম্বর সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আইনজীবী হিসাবে যোগদান করেন।দীর্ঘ ১০ বছর আইনি পেশায় সততার সাথে দ্বায়িত্ব পালন করে সহকারি পাবলিক প্রসিকিউটর হিসাবে নিয়োগ হওয়ায় মহান রাব্বুল আলামিনের শুকরিয়া জ্ঞাপন করেন।

৭৩ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় লাভ করল এস আর ক্রিকেট ক্লাব

বিশ্বনাথের রামপাশা ইউনিয়ন ক্রিকেট লীগের আজকের প্লে অফের খেলায় নিউ স্টার ক্রিকেট ক্লাবকে ৭৩ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে আসরের অন্যতম শক্তিশালি দল এস আর ক্রিকেট ক্লাব।নিউ স্টার ক্রিকেট ক্লাবের অধিনায়ক তোফায়েল টসে জয় লাভ করে প্রথমে ফিল্ডিং এর সিদ্ধান্ত নেন।ব্যাটিং্যে নেমে দলীয় ২৭ রানে ব্যক্তিগত ১৫ রানে আউট হন ওপেনার মাহবুব।তৃতীয় উইকেটে অভিজ্ঞ কানন আহমেদ এবং যুবরাজ যুব ৫০ রানের পার্টনারশিপ দেন।তিনটি চার এবং দুই ছয়ে ৩৯ বলে ৩২ রান করে আরশাদের বলে আউট হোন কানন আহমেদ।তিনটি চার এবং একটি ছয়ে ২৪ বলে ৩০ রান করেন যুবরাজ যুব।নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে ছিল এস,আর ক্রিকেট ক্লাব সেখানে অষ্টম জুটিতে ৭৪ রান সংগ্রহ করেন মারুফ এবং হুসাইন।চারটি ছয় এবং দুইটি চারে মাধ্যমে ৩৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন মারুফ।১৩ বলে ২০ রান করে হুসাইন।নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৭৩ রান সংগ্রহ করে এস আর ক্রিকেট ক্লাব।নিউ স্টার ক্রিকেট ক্লাবের পক্ষে রাজা ৪ ওভার বল করে ১ মেইডেনে ১৪ রান দিয়ে ২ উইকেট শিকার করে।১৭৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে সাইফুল কামরুল এবং সাকিব এর বোলিং তোপে
১০০ রানে অলআউট হয় নিউ স্টার ক্রিকেট ক্লাব।নিউ স্টারের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৪ রান করেন রাসেল।সাইফুল ৪ ওভারে ১ মেইডেনে ৮ রান দেন।৪ ওভারে ২ মেইডেনে ১০ রান দিয়ে ৩ উইকেট শিকার করেন সাকিব।ফলে ৭৩ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় লাভ করে এস আর ক্রিকেট ক্লাব।১০ রানে ৩ উইকেট শিকার করে ম্যান অব দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হন সাকিব।

রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

আকবর দ্যা গ্রেট এর হাত ধরে বাংলাদেশের বিশ্ব জয়।

ক্রীড়া ডেস্ক অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হলো টাইগাররা। ফাইনালে ভারতকে ৩ উইকেটে হারিয়ে প্রথমবারের মত ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়ন হলো বাংলাদেশ। টস জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় টাইগার অধিনায়ক আকবর। বোলারদের দারুণ নৈপুণ্যে ভারতকে ১৭৭ রানেই বেঁধে দেয় বাংলাদেশের যুবারা। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথমে ভালো সূচনা করলেও দ্রুত উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত বৃষ্টির কারণে ডিএলএস মেথডে জয়ের জন্য বাংলাদেশের টার্গেট দেয়া হয় ৩০ বলে ৮ রান। স্পিনার রাকিবুল হাসানকে সঙ্গে নিয়ে যা খুব সহজেই করে ফেলে টাইগার অধিনায়ক আকবর আলী। প্রথম উইকেট জুটিতে ৫০ রান করা বাংলাদেশের মাত্র ৮৫ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে চরম বিপর্যয়ে পড়ে যায়। ১০২ রানের মাথায় অভিষেক দাস সাজঘরে ফিরলে বিপদ আরও ঘনীভূত হয়। ৬ উইকেট হারিয়ে দল যখন বিপদে সেখান থেকে দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যান অধিনায়ক আকবর ও পারভেজ হোসেন ইমন। এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র দলীয় ৯ রানে ভারতীয় ওপেনার দিব্বাংশ সাক্সেনাকে সাজঘরে ফেরান অভিষেক দাস। দ্বিতীয় উইকেটে ৯৪ রানের জুটির পর তিলক ভার্মাকে আউট করে সেই জুটির বিচ্ছেদ ঘটান তানজিম হাসান সাকিব। দলীয় ১০২ রানে ফেরেন তিলক ভার্মা। অভিষেক, সাকিব এবং শরিফুলের দুর্দান্ত বোলিং নৈপুণ্যে ১৭৭ রানেই শেষ হয় ভারতের ইনিংস। ভারতের হয়ে দলটির ওপেনার জ্বসশী জয়সাওয়াল করেন ৮৮ রানের ইনিংস। তিলক ভার্মা করেন ৩৮ রান। এছাড়া উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ধ্রুব জুরেল ২২ রান করে আউট হন। ম্যাচ সেরা হন টাইগার অধিনায়ক আকবর আলী। সিরিজ সেরা হন ভারতের ওপেনার জ্বসশী জয়সাওয়াল।

বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হতে বাংলাদেশের দরকার ১৭৮!!!!

পচেফস্ট্রুমে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে শক্তিশালী ভারতের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। টস জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছে বাংলাদেশের অধিনায়ক আকবর আলী। যুব টাইগার বোলারদের তোপের মুখে পড়া ভারত নিয়মিত বিরতিতে হারায় উইকেট। শরিফুল-অভিষেক-সাকিবের বোলিং তোপে ১৬ বল বাকি থাকতে ১৭৭ রানে গুঁটিয়ে গেছে ভারত। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হতে বাংলাদেশের চাই ১৭৮ রান।বিস্তারিত আসছে....

শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

আগামীকাল প্রথম সেমিফাইনালে মাঠে নামছে এসপি,জননী।

১৪ তম রামপাশা ইউনিয়ন ক্রিকেট লীগ-২০২০ এর ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে প্রথম সেমিফাইনালে মুখামুখি হচ্ছে আসরের দুই পরাশক্তি জননী ক্রিকেট ক্লাব,আশুগঞ্জ বাজার এবং এস,পি ক্রিকেট ক্লাব শেখপাড়া।আগামীকাল সোমবার দুপুর ১ টা ৪৫ মিনিটে ইউনিয়ন লীগের মাঠে জননী ক্রিকেট ক্লাব মোকাবেলা করবে এস,পি ক্রিকেট ক্লাবের।আসরে টানা ১১ ম্যাচ জয়ে ফুরফুরে মেজাজে রয়েছে টিম জননী।জয়ের ধারাবাহিকতা সেমিফাইনালে বেশ আত্মবিশ্বাস যোগাবে।এদিকে এস,পি ক্রিকেট ক্লাব ফাইনালে পা রাখতে নিজেদের সেরাটা দিয়ে খেলতে চাইবে।তাই বলাই যাচ্ছে ফাইনাল মহারণের আগে আরেকটি ফাইনাল দেখতে যাচ্ছে ক্রিকেটপ্রমীরা।

সকল আইনি জটিলতা কাটিয়ে ১৬ ফেব্রুয়ারী হচ্ছে ১৮ হাজার শিক্ষক যোগদান

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদের নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ১৮ হাজার প্রার্থীর নিয়োগ এখনো চূড়ান্ত হয়নি। অথচ এই অবস্থায় নতুন করে আরো ২৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগের সার্কুলার দেয়ার চিন্তা করছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই)। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো: জাকির হোসেন ইতোমধ্যে নতুন করে এই শিক্ষক নিয়োগের সার্কুলার জারির ঘোষণাও দিয়েছেন। তবে দেশের ২৬ জেলায় প্রাথমিকে নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের নিয়োগ স্থগিত করেছেন আদালত। এই স্থগিতাদেশ বাতিল চেয়ে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা চাইবে ডিপিই। আজ রোববার থেকে আইনজীবীদের সাথে নিয়ে আপিল আবেদনের সব প্রস্তুতি গ্রহণ করবে সংস্থাটি। দুয়েক দিনের মধ্যে আপিলের সব কাগজপত্র আদালতে জমা দেবে তারা। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে প্রাথমিকে উত্তীর্ণ ১৮ হাজার প্রার্থীর নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে চায় ডিপিই। এ জন্য সংস্থাটি উচ্চ আদালতের নির্দেশনা চেয়ে আবেদনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। যদিও দুই সপ্তাহ আগে প্রাথমিকের এই শিক্ষক নিয়োগে নারী কোটার যথাযথ অনুসরণ হয়নি এমন অভিযোগ এনে আদালতের নির্দেশনায় ২৬ জেলায় শিক্ষক নিয়োগ স্থগিত হয়েছে। অন্য দিকে ডিপিই আগামী রোববারের (১৬ ফেব্রুয়ারির) মধ্যে নিয়োগপ্রক্রিয়া শেষ করতে নিজ নিজ জেলা শিক্ষা অফিসকে নির্দেশনা দিয়েছে। নির্ধারিত এই সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলা শিক্ষা অফিসে প্রার্থীদের যোগদানপত্র জমা দেয়ারও সময়সীমা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। এ দিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, আদালতের স্থগিতাদেশ পাওয়া জেলাগুলোর পক্ষে সমন্বিতভাবে আপিল করবে ডিপিই। নওগাঁ জেলার স্থগিতাদেশ অবশ্য ইতোমধ্যে প্রত্যাহার হয়েছে। সেখানে শিক্ষক নিয়োগে আর কোনো বাধা নেই। একইভাবে অন্যান্য জেলায়ও স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের জন্য দুয়েক দিনের মধ্যেই আবেদন করা হচ্ছে। ডিপিইর সহকারী পরিচালক মো: আতিক এস বি সাত্তার নয়া দিগন্তকে বলেন, আপিলের সব প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। আইনজীবীদের সাথে বসে শিগগির আমরা উচ্চ আদালতে যাচ্ছি। তিনি আরো জানান, নিয়োগবিধি অনুসরণ এবং কোটার শর্ত পূরণ করেই সব সহকারী শিক্ষক নিয়োগের ফল প্রকাশ ও যোগ্য প্রার্থী নির্বাচন করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে নিয়োগবিধির কোনো লঙ্ঘন হয়নি। এ বিষয়ে আমাদের কাছে সব তথ্যপ্রমাণ রয়েছে। তিনি আশা করছেন সব জেলায় নিয়োগে স্থগিতাদেশও আপিল বিভাগে বাতিল হবে। এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আকরাম আল হোসেন জানান, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষকের সঙ্কট রয়েছে। আমরা চাই দ্রুততম সময়ে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হোক। আমরা আশা করছি আপিলের মাধ্যমে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০১৮ পরীক্ষায় নির্বাচিতদের নিয়োগ দেয়া যাবে। এ নিয়ে কোনো জটিলতা সৃষ্টি হবে না।

প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপহার প্রতিবন্ধিদের জায়গা সহ ঘর নির্মান পরিদর্শন করেন সিলেট জেলা প্রশাসক মজিবর রহমান

 সিলেটের জেলা প্রশাসক জনাব মজিবর রহমান রামপাশা ইউনিয়নের প্রতিবন্ধীদের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপহার জায়গা সহ গৃহ নির্মাণের কাজগুলো ...